মোবাইল ভালো রাখার উপায়

মোবাইল ভালো রাখার উপায়

মোবাইল ভালো রাখার উপায় না জানার কারনে আমাদের অনেকই এর অপব্যবহার করেন । লেখাটি অবশ্যই আপনার জন্য । এখন খুব কম লোকই খুঁজে পাওয়া যাবে যিনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না । না জেনে স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমরা স্মার্টফোন ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া, ফোন হ্যাং বা স্লো কাজ করা, ফোন খুবই গরম হয়ে যাওয়া সহ নানান সমস্যার সম্মূখীন হই । মোবাইলের  কিছু সঠিক ব্যবহার জানার ফলে সহজেই আমরা এ ধরনের সমস্যা হতে আমাদের মোবাইলটিকে রক্ষা করতে পারি । আজকে আমরা সে সব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলোর মাধ্যমে আমরা জানবো কীভাবে মোবাইল ফোন ভালো রাখতে হয় ।


মোবাইল ভালো রাখার উপায়
মোবাইল ভালো রাখার উপায়

১. চার্জের ব্যাপারে মনোযোগী হোন

স্মার্টফোন সপ্তাহে ১ দিনের বেশি ১০০% চার্জ দেওয়া যাবে না । ১০০ ভাগ চার্জ কখনোই আমাদের মোবাইলের জন্য ভালো নয় । তাই ১০০ ভাগ চার্জ না দিয়ে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ চার্জ দিলেই মোবাইল ভালো থাকে ।  

সব স্মার্টফোন ব্যাটারির একটি নির্দিষ্ট জীবন কাল আছে । বিশেষজ্ঞরা ০-১০০% চার্জ হওয়াকে একটি সাইকেল ধরেন । কমবেশি ৪০০-৫০০ সাইকেল পূর্ণ করা ফেলার পর ব্যাটারি জীবন কাল শুরু করে দেয়। তখন তা আর কতদিন চলবে তা নির্ভর করে আপনার পরবর্তী ব্যবহারের উপর ।

মোবাইল ব্যাটারি বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ ৯০% এর বেশি চার্জ দেওয়া এবং ২০% এর নিচে চলে আসার আগে মোবাইল ফের চার্জে দেওয়া ব্যাটারির জীবন কালের জন্য সবচেয়ে ভালো। মোবাইলে ব্যবহৃত লিথিয়াম আয়ন পলিমার ব্যাটারি লিথিয়াম কোবাল্ট অক্সাইড স্তর এবংগ্রাফাইট স্তরের একাধিক স্তর দিয়ে তৈরি । 

মোবাইল ভালো রাখার উপায়
চার্জের ব্যাপারে মনোযোগী হোন

ব্যাটারি ব্যবহারের সময় লিথিয়াম আয়নগুলি শক্তি ছাড়তে গ্রাফাইট থেকে কোবাল্ট অক্সাইডের দিকে সরে যায় । ব্যাটারি চার্জ দিলে  লিথিয়াম আয়ন ধীরে ধীরে ফের স্বস্থানে ফিরে আসে । কিন্তু ব্যাটারি দীর্ঘক্ষণ চার্জে রাখলে গ্রাফাইট স্তরে আয়নের ঘনত্ব প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়ে যায় ।

যা ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয় । তবে বর্তমানে অধিকাংশ মোবাইলেরই অধিক চার্জের সিকিউরিটি সেন্সর থাকে । তাই ফুল চার্জ হলে সেন্সর চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেয় । কিন্তু  অধিক সময় মোবাইল চার্জে রেখে দেওয়ার কারনে এই সেন্সর নষ্ট হয়ে যায় । মনে রাখবেন কোন প্রযুক্তিই  ১০০% নিখুঁত নয় । 

তাই সচেতন হওয়াই ভালো নয় কি ? অন্য দিকে চার্জ ২০% এর নিচে নেমে আসলে তা পুরো ডিভাইসটিকে দুর্বল করে দেয় । যার কারণে চার্জ ২০% এর নিচে আসার আগেই তা চার্জে লাগাতে হবে । চার্জ ২০%  এ চলে আসলে কোনমতেই তখন আপনার স্মার্টফোনটি আর ব্যবহার করবেন না । 

আরো পড়তে পারেন

২. চার্জ অবস্থায় ফোন ব্যবহার না করবেন না ।

চার্জিং অবস্থায় ফোন ব্যবহার করলে ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় । যা ফোনের প্রসেসর মাদারবোর্ড সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ক্ষতি করে । ২৭ জুলাই২০১৯ সালে বিবিসি মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কথা বলা, গেম খেলা, ব্রাউজ করা কতোটা নিরাপদ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে চার্জ অবস্থায় ফোন ব্যবহার করা কতটা অনিরাপদ তা উল্লেখ করা হয় । মোবাইল চার্জে রেখে ব্যাবহার করা কতটা ক্ষতিকর তা জানতে প্রতিবেদনটি পড়ে আসতে পারেন ।

৩. মোবাইলের আসল চার্জার ব্যবহার করুণ

প্রতিটি মোবাইলের মডেল একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সি এ চার্জ হবার জন্য তৈরি। তাই মোবাইলের ব্যাটারিকে দীর্ঘ দিন কার্যক্ষম রাখার জন্য আবশ্যই চার্জের জন্য মোবাইলের আসল চার্জার ব্যবহার করতে হবে । 

৪. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস বন্ধ করে রাখুন

আমরা যখন এন্ড্রয়েড ফোন কিনি তখন তাতে আগে থেকেই অনেক অ্যাপস ইন্সটল (install) করা থাকে। যেগুলো আমরা ব্যবহার করি না । এ ধরনের apps গুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে (background) এ চলতে থাকে । 

যার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি, স্টোরেজ (storage) এবং প্রসেসর ব্যবহার হতে থাকে । তাই অকারণে নিজের মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসেসর, র্যাম ক্ষয় হতে না দেয়ার জন্য আপনি এ ধরনের apps গুলো বন্ধ (disable) করে রাখতে পারেন ।  

এন্ড্রয়েড অ্যাপ disable করার জন্য settings>>app manager অথবা apps এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় apps গুলো disable বা বন্ধ করে দিতে পারেন ।যার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি, স্টোরেজ (storage) এবং প্রসেসর ব্যবহার কম হবে । যা আপনার মোবাইলের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে ২থেকে ৩ গুন ।

আরো পড়তে পারেন

৫. স্মার্টফোনে ব্যবহৃত এপস গুলো নিয়মিত আপডেট দিন। 

র‍্যানসমওয়্যার এর মতো ভয়ংকর ভাইরাস থেকে আপনার মোবাইলকে বাঁচানোর প্রধান উপায় হলো স্মার্টফোনে ব্যবহৃত এপস গুলোকে নিয়মিত আপডেট করা। সম্প্রতি র‍্যানসমওয়্যার এর হামলার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যাদের ডিভাইসে উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠানের দেয়া নিরাপত্তা প্যাচগুলো হালনাগাদ করা ছিল সে সকল ডিভাইসগুলো  র‍্যানসমওয়্যার এর মতো ভয়ংকর ভাইরাস এর আক্রমণে কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও নিত্য নতুন ফিচার, ডিভাইসের স্পিড ও পারফরমেন্সের জন্য স্মার্টফোনে ব্যবহৃত এপস গুলো নিয়মিত আপডেট করতে হবে ।

৬. ক্যাশ ডাটা (Cache data) ডিলেট করুন

প্রত্যেকটি apps ব্যবহারের ফলে তা মোবাইলের ইন্টারনাল স্টোরেজে কিছু Cache data জমিয়ে রাখে ।যা মোবাইলের স্পিড কমিয়ে দেয় এছাড়াও তা অপ্রয়োজনীয় ভাবে স্টোরেজ দখল করে রাখে । তাই এ ধরেনর Cache data ক্লিন করার জন্য settings>>app manager এ গিয়ে এক এক করে apps বাচাই করে Cache delete বা delete data অপশনে গিয়ে মোবাইলের ক্যাশ ডিলেট করে নিতে পারেন । 

৭. মোবাইল ফোনের সিকিউরিটির দিকে মনোযোগী হোন

ভাইরাস কম্পিটারের জন্য যেমন ক্ষতিকর একই ভাবে সেটি মোবাইলের জন্যও ক্ষতিকর । গুগলের প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম হতে অ্যাপ ইন্সটল করা, ইমেলের সংযুক্ত ফাইল (অ্যাটাচমেন্ট), এম.এম.এস,  এস.এম.এস বিভিন্ন জনপ্রিয় মেসেঞ্জার আ্যাপস যেমন ভাইবার, হোয়াটস আ্যাপ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করার কারনে আপনার মোবাইলে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে । 

যা অবশ্যই আপনার এবং আপনার মোবাইলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে । এর জন্য আপনি  AVG Antivirus, Kaspersky  Antivirus, Avast mobile Antivirus এর মতো জনপ্রিয় Antivirus গুলোর যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন । তবে কোন Antivirus ই আপনাকে ১০০% নিরাপত্তা দিতে সমর্থ্য নয় । শুধু মাত্র আপনার সচেতনতাই আপনাকে ১০০% নিরাপত্তা দিতে পারবে ।  

সাধারণত গুগল প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম থেকে অ্যাপস ইন্সটল না করা, এম.এম.এস বা  এস.এম.এস হতে প্রাপ্ত  লিংক গুলোতে ক্লিক করার আগে সতর্ক থাকা । ব্রাউজারে লিংক খোলার সময় সেটি ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা থাকলে সেটিতে প্রবেশ না করা । 

যেগুলো মেনে চললে কোন রকম Antivirus ব্যবহার করা ছাড়াই আপনি অনেকাংশে সুরক্ষিত থাকতে পারেন । এছাড়াও মোবাইল ফোনটি নিরাপদ রাখার জন্য স্বয়ংক্রিয় স্ক্রিন লক চালু রাখা, স্ক্রিন লক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, গুগল থেকে ফোন শনাক্ত করার (google find my device) অপশন চালু রাখার মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি নিরাপদ রাখতে পারেন। 

আরো পড়তে পারেন

৮. হোম স্কিনে বেশি অ্যাপস ব্যবহার করবেন না

ডেস্কটপের মতো মোবাইলের হোম স্কিনেও বেশি অ্যাপস রাখলে মোবাইলের পারফরমেন্স কমে যেতে পারে । এছাড়াও এর কারণে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয় । তাই অব্যবহৃত আ্যাপস হোম স্কিন থেকে সরিয়ে রাখুন ।

৯. ফোনের আসল চার্জার ব্যবহার করুণ

প্রতিটি ফোনের মডেল একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজ এবং ফ্রিকোয়েন্সি এ চার্জ হবার জন্য তৈরি । তাই ফোনের ব্যাটারিকে দীর্ঘ দিন কার্যক্ষম রাখার জন্য আবশ্যই ফোন চার্জের জন্য ফোনের আসল চার্জার ব্যবহার করতে হবে । 

১০. ভালো স্ক্রিন প্রটেক্টর এবং ফোন কেইস ব্যবহার করুণ

ফোনে ভালো স্কিন প্রটেক্টর ব্যবহার করা খুবই জরুরী । মনে করুণ দূর্ঘটনাবশত আপনার মোবাইলটি হাত থেকে পড়ে গেল । তখন ভালো মানের স্ক্রিন প্রটেক্টরটিই আপনার ফোনের ডিসপ্লেকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে । 

তবে ফোনের কেইস ব্যবহার নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে । কারণ প্রতিটি ফোন ব্যবহার করার সময় তাপ উৎপন্ন হয় । ফোন কেইস ব্যবহার করার কারণে ফোনে উৎপন্ন তাপ সহজে অপসারণ হতে পারে না । যার ফলে মোবাইলের ব্যাটারি, প্রসেসর, মাদারবোর্ড ক্ষতির শিকার হয় । অন্যদিকে ফোন কেইস এর ব্যবহার আপনার ফোনকে দূর্ঘটনার হাত থেকে নিরাপত্তা দিবে ।  

১১. অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা থেকে আপনার ফোন দূরে রাখুন

অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা কোনটিই আপনার স্মার্টফোনটির জন্য ভালো নয় । অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডার ফলে আপনার ফোনের যন্ত্রাংশের উপর প্রভাব পড়ে । যা আপনার মোবাইলের আয়ু দ্রুত কমিয়ে দিবে । ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য ফোনের কেস খুলে রাখুন । চার্জ দেওয়ার সময় এমন জায়গায় রাখুন যেন চার্জ হওয়ার সময় উৎপন্ন তাপ দ্রুত বের হয়ে যেতে পারে । কিছু apps আছে যা ব্যাকগ্রাউন্ডে সবসময় কার্যকর থেকে মোবাইলের প্রসেসর এবং গ্রাফিকসের বারোটা বাজিয়ে দেয় । তাই মোবাইল অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে এ ধরনের apps মোবাইলে না রাখাই ভালো । এছাড়াও মোবাইল কখনো সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না ।

১২. মোবাইল মাঝে মাঝে restart বা reboot করুণ

ঘুমানোর পর আমরা যেভাবে নিজেদেরকে ফ্রেশ (fresh) এবং সক্রিয় মনে করি । তেমনি ভাবে মাঝে মাঝে স্মার্টফোন টিকে রিস্টর্ট (restart) বা রিবোর্ট (reboot) করা হলে সেটিও fresh এবং সক্রিয় হয়ে উঠে । খেয়াল করে দেখুন আপার মোবাইল যখন হ্যাং (hang) বা স্লো (slow) কাজ করে তখন সেটি restart বা reboot করা হলে সেটি আবার দ্রুত কাজ শুরু করে । তাই মোবাইলের পারফরমেন্স ভালো রাখার জন্য সেটি মাঝে মাঝে restart বা reboot করতে হয়

১৩. স্মার্টফোন অতিরিক্ত স্টাইলিশ করতে যাবেন না

অনেকে নিজের স্মার্টফোনটিকে অতিরিক্ত স্টাইলিশ লুক দেওয়ার জন্য লাইভ থিমস, লাইভ ওয়েল পেপার বা বিভিন্ন এনিমেশন ব্যবহার করে থাকে । দীর্ঘদিন মোবাইল ফোন টি ভালো রাখতে এবং ব্যাটারির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই আপনাকে এ ধরণের মনোভাব পরিহার করতে হবে । কারণ লাইভ থিমস বা লাইভ ওয়েল পেপার সবসময় আপনার মোবাইলের ব্যাটারি এবং প্রসেসর ব্যবহার করতে থাকে । 

এছাড়াও আরো কিছু ছোট ছোট সচেতনতার মাধ্যমে স্মার্টফোন ভালো ও দীর্ঘদিন কার্যকর রাখা যায় । যেমন : 

১৪. নোটিফিকেশনের জন্য মোবাইল ভাইব্রেশন মোডে চালু না রাখা ।

১৫. অযথা লোকেশন অন করে না রাখা ।

১৬. ব্রাইটনেস সেটিংস ঠিক করে নেওয়া ।

১৭. ঘুমানোর সময় বিছানায় বা বালিশের নিচে ফোন না রাখা ।

১৮. অপ্রয়োজনে ওয়াই ফাইল , ব্লুটথ, ডাটা কানেকশন বন্ধ করে রাখা ।

১৯. কাজ শেষে apps বন্ধ করে রাখুন ।

২০. ব্যাটারি ভালো রাখার জন্য কোন  apps ব্যবহার করবেন না । যা আপনার ব্যাটারি ভালো তো রাখবেই না বরং তা ব্যাটারিকে আরো খারাপ করে দিবে ।

২১. কোন মতেই সস্তা চার্জার ব্যাবহার করবেন না ।

২২. মোবাইল ফোনটি সব সময় পরিষ্কার করুণ ।

আশা করি মোবাইল ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জেনেছেন । মোবাইল ভালো রাখার উপায় গুলো প্রয়োগ করে আপনি আপনার সাধের স্মার্ট ফোনটি ভালো রাখবেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন । অন্বেষা.নেট এর সাথে থাকুন।

আরো পড়তে পারেন

জুয়েল

আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। আসুন আমরা প্রত্যেক শিশুর স্বপ্ন জয়ের সারথি হই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন