ছন্দ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি জেনে নিন বিস্তারিত

বাংলা কাব্য সাহিত্য ভালো করে বুঝার জন্য ছন্দ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় ছন্দ থেকে পরীক্ষা আসে। তাই ছন্দ কাকে বলে এবং এ সম্পর্কে বিস্তারতি জানা শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিচের আর্টিকেলে ছন্দ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এবং ছন্দ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ছন্দ কাকে বলে
কথাকে তার জড়ধর্ম থেকে মুক্তি দেবার জন্যই ছন্দ।

ছন্দ কাকে বলে

ছন্দ অর্থ ‘গতি সৌন্দর্য’। সাহিত্যে এর অর্থ ‘ভাষাগত ধ্বনি সৌন্দর্য।' পদসমূহকে যেভাবে সাজালে নিয়মিত গতিবেগ সঞ্চারিত হয় এবং সহজে চিত্তে রসের সঞ্চারণ করে, তাকে ছন্দ বলা বলা হয়।

ছন্দ সম্পর্কে বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, “কথাকে তার জড়ধর্ম থেকে মুক্তি দেবার জন্যই ছন্দ।'

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ‘বাক্যস্থিত পদগুলোকে যেভাবে সাজাইলে বাক্যটি শ্রুতিমধুর হয় ও তাহার মধ্যে ভাবগত ও ধ্বনিগত সুষমা উপলব্ধি হয়, পদ সাজাইবার সেই পদ্ধতিকে ছন্দ বলা হয়।'

প্রবোধচন্দ্র সেন তাঁর ‘ছন্দ পরিক্রমায়' বলেছেন, 'সুনিয়ন্ত্রিত ও সুপরিমিত বাক্য বিন্যাসের নাম ছন্দ।

ছন্দ নির্ণয় করা এবং ছন্দ বুঝার জন্য নিচের তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ। তাই ছন্দ সম্পর্কে আলোচনা করার আগে চলুন ছন্দের সাথে সম্পর্কিত নিচের তথ্যগুলো আগে জেনে আসি।

ছন্দের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো

ধ্বান কাকে বলে

শব্দের বিশিষ্ট ক্ষুদ্রতম শ্রুতিগ্রাহ্য অংশই ধ্বনি। ধ্বনি দুই প্রকার। যথা : ক. স্বরধ্বনি খ. ব্যঞ্জনধ্বনি ।

অক্ষর কাকে বলে

অক্ষর হচ্ছে বাগ্যন্ত্রের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ। অক্ষর দুই প্রকার। যথা : ১. মুক্তাক্ষর ২. বদ্ধাক্ষর

১. মুক্তাক্ষর কাকে বলে

যে সকল অক্ষর স্বরধ্বনিজাত অথবা অক্ষরের শেষে একটি স্বরধ্বনি থাকে, তাকে মুক্তাক্ষর বা স্বরান্ত অক্ষর বা বিবৃত অক্ষর বলে। মুক্তাক্ষর উচ্চারণ শেষে মুখ খোলা থাকে এবং প্রয়োজনমতো প্রলম্বিত করা যায়। মুক্তাক্ষর নির্দেশক চিহ্ন (U)। যেমন : মা, কে, না ইত্যাদি ।

২. বদ্ধাক্ষর কাকে বলে

ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনির মাধ্যমে যে সব অক্ষরের সমাপ্তি ঘটে, তাকে বদ্ধাক্ষর বা সংবৃত অক্ষর বলে। এটি উচ্চারণের শেষে মুখ বন্ধ হয়ে যায়। বদ্ধাক্ষর নির্দেশক চিহ্ন হলো (-)। যেমন : কাজ, হাত ইত্যাদি।

পর্ব কাকে বলে

যতির দ্বারা পর্ব নির্ণীত হয়। এক নিঃশ্বাসে চরণের যতটা অংশ উচ্চারণ করা যায়, ঐ অংশটুকু একটি পর্ব। অর্থাৎ এক যতি থেকে পরবর্তী যতি পর্যন্ত অংশকে পর্ব বলা হয়। যেমন :

“বাঁশ বাগানের | মাথার উপর চাঁদ উঠেছে | ওই

মাগো আমার | শোলক বলা কাজলা দিদি | কই ।'

ওপরের দুটি চরণে চারটি করে যতি পড়েছে। ফলে প্রত্যেকটি চরণ চারটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এই বিভক্ত প্রতিটি ভাগই এক একটি পর্ব ।

মাত্রা কাকে বলে

ছন্দের ক্ষেত্রে মাত্রা কথাটির মূল তাৎপর্য হচ্ছে অক্ষর উচ্চারণের সময় বা কাল পরিমাপ। অর্থাৎ এক একটি অক্ষর উচ্চারণের নিম্নতম কাল পরিমাপকে মাত্রা বলে ।

উদাহরণ : ‘ছিপ খান | তিন দাঁড় | তিন জন | মাল লা

চৌ পর | দিন ভর | দ্যায় দূর | পাল লা।'

চরণ কাকে বলে

কবিতার চরণ বলতে একটি পূর্ণ বাক্যকে ধরা হয়। প্রতিচরণে কয়েকটি পর্ব বা পদ থাকে। একটি চরণ অনেকগুলো পর্বে বিভক্ত থাকে। আবার একটি চরণ একটি পর্ব হতে পারে। যেমন :

‘মহাভারতের কথা। অমৃত সমান। কাশীরাম দাস কহে। শুনে পুণ্যবান।'

পঙক্তি কাকে বলে

ইংরেজি ‘Line' কে বাংলায় পঙক্তি বলে। কবিতার পঙক্তি ও চরণ সবসময় এক হয় না, ‘চরণ” একটি পূর্ণবাক্য কিন্তু পঙক্তি সবসময় পূর্ণ বাক্য হয় না, তবে একটি পঙ্ক্তি পূর্ণবাক্য হলে সেটিকে অবশ্যই চরণ বলা যায়। কখনো কখনো একটি চরণকে ভেঙে দুই বা ততোধিক পঙক্তিতে সাজানো যায়। বিশেষ করে ত্রিপদী এবং চৌপদীতে একটি চরণ বিভিন্ন পঙক্তিতে সাজানো থাকে। যেমন :

“যে জন দিবসে/মনের হরষে/জ্বালায় মোমের বাতি।'

স্তবক কাকে বলে

ভাবপূর্ণ চরণগুলোকে স্তবক বলে। প্রতি স্তবকে একাধিক চরণ সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে। পূর্বে অনেকে প্রতি স্তবকে দুই দাঁড়ি ব্যবহার করতেন । যেমন :

'হৃদয় আজি মোর | কেমনে গেল খুলি

জগৎ আসি সেথা | করিছে কোলাকুলি,

প্ৰভাত জল সেই | কী জানি হল একি

আকাশ পানে চাই | কী জানি জগতে দেখি ॥'

আরো পড়তে পারেন

লয় কাকে বলে

লয় অর্থ ছন্দের গতি। সাধারণত ধীর, মধ্য, দ্রুত এই তিনলয়ে কাব্যপাঠ হয়ে থাকে। অক্ষরবৃত্ত ধীর, মাত্রাবৃত্ত মধ্য, স্বরবৃত্ত দ্রুতলয়ের ছন্দ।

পয়ার কাকে বলে

অক্ষরবৃত্ত ছন্দের অপর একটি অতি প্রচলিত নাম ‘পয়ার-জাতীয় ছন্দ বা পয়ার ছন্দ'। পয়ারের প্রত্যেক চরণ দুই পর্বের। চরণে মাত্রা বিন্যাস ৮ + ৬ = ১৪। চরণপ্রান্ত অন্ত্যমিল এবং দুই চরণে স্তবক গঠিত হয়। যেমন : ‘কাননে কুসুম কলি/ সকলি ফুটিল ।'

প্রবহমানতা কাকে বলে

পয়ারের ন্যায় একটি শ্লোকেই একটি ভাবকে আবদ্ধ না রেখে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা ততোধিক পঙ্ক্তিতে টেনে নিয়ে যাওয়াকে ছন্দঃ শাস্ত্রে বলে প্রবহমানতা। অর্থাৎ প্রবহমানতা হলো এক পঙক্তিতে বক্তব্য শেষ না হয়ে অন্য পঙক্তি বা পঙ্ক্তিসমূহে ছড়িয়ে যাওয়া । যেমন :

‘সম্মুখ সমরে পড়ি/বীর চূড়ামণি, বীরবাহু/চলি যবে গেলা যমপুরে অকালে ।'

মধ্যখণ্ডন কাকে বলে

কাব্যপঙক্তিকে পর্ববিভাগ করার সময় কখনো কখনো কোনো শব্দ বা পদকে দ্বিখণ্ডত করার দরকার হয়। এ প্রক্রিয়াকেই মধ্যখণ্ডন বলে। যেমন : শৈলচূড়ায়। নীড় বেঁধেছে। সাগর বিহঙ/গেরা।

ছন্দ কত প্রকার ও কি কি

বাংলা ছন্দ তিন প্রকার। যথা : ১. অক্ষরবৃত্ত ২. মাত্রাবৃত্ত ৩. স্বরবৃত্ত।

১. অক্ষরবৃত্ত ছন্দ কাকে বলে

যে ছন্দে শব্দের আদিতে ও মধ্যে যুগ্মধ্বনি থাকলে তা সংশ্লিষ্ট উচ্চারণে এক মাত্রা এবং শেষে যুগ্মধ্বনি থাকলে বিশ্লিষ্ট উচ্চারণে দুই মাত্রা ধরা হয় তাকে অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বলে। উৎপত্তির বিচারে ছন্দটিকে ‘খাঁটি বাংলা অর্থাৎ তদ্ভব ছন্দ’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। যেমন :

‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে/ মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।' 

‘এই সূর্যকরে এই পুষ্পিত কাননে/ জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই।’

অক্ষরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য

ক. মূলপর্ব আট বা দশ মাত্রার হয়

খ. শব্দধ্বনির অতিরিক্ত তান বা সুর থাকে।

গ. এ ছন্দে শব্দের আদি ও মধ্যের যুগ্মধ্বনি উচ্চারণে এক মাত্রার এবং শেষের যুগ্মধ্বনি বিশিষ্ট উচ্চারণে দুই মাত্রার ।

ঘ. এ ছন্দের ভাব ও ভাষা গভীর, গম্ভীর, বিপুল এবং বিশাল।

ঙ. এ ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর অসাধারণ শোষণশক্তি, যার ফলে যুক্তাক্ষরবিহীন পর্বকে যুক্তাক্ষরবহুল করলেও এর মাত্রা সংখ্যার কোনো তারতম্য হয় না ৷

চ. এ ছন্দে লয় ধীর বা মধ্যম। যেমন : হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;/তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পরধন লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ/ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি ।

২. মাত্রাবৃত্ত ছন্দ কাকে বলে

যে জাতীয় ছন্দে যেকোনো রূদ্ধদলের (বদ্ধাক্ষরের) মাত্রাসংখ্যা দুই এবং যার চলন মধ্যগতি তাকে ‘মাত্রাবৃত্ত' ছন্দ বলে ।

মাত্রাবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য

ক. মাত্রাবৃত্ত ছন্দে বদ্ধাক্ষর সর্বদাই দুই মাত্রার ৷

খ. এ ছন্দে অতিরিক্ত কোনো তান বা সুর থাকে না।

গ. এ ছন্দে স্বরবৃত্তের মতো ধ্বনি সংকোচ নেই; আছে ধ্বনি-বিস্তার।

ঘ. এ ছন্দে স্বরান্ত, হলন্ত বা কেবল স্বরান্ত অক্ষর দ্বারাই পর্ব সংঘটিত হয় ।

ঙ. এ ছন্দের মূল পর্ব চার, পাঁচ, ছয়, সাত এবং আট মাত্রার। তবে, এ-ছন্দের ছয় মাত্রার চলই বেশি।

চ. এ ছন্দের লয় বিলম্বিত এবং এর গতিবেগ ঢালাসুরে একটানা প্রবাহিত ।

ছ. এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এর গীতিপ্রবণতা বা সুর নিষ্ঠতা।

জ. এ ছন্দের মাঝখানে মধ্যমগতির লয় থাকে। যেমন : ‘এইখানে তোর | দাদির কবর | ডালিম গাছের | তলে, তিরিশ বছর | ভিজায়ে রেখেছি | দুই নয়নের | জলে। এতটুকু তারে | ঘরে এনেছিনু | সোনার মতন | মুখ, পুতুলের বিয়ে | ভেঙ্গে গেল বলে | কেঁদে ভাসাইত | বুক।'

ঝ. এ ছন্দে স্বরবৃত্তের মতো ধ্বনিসংকোচ নেই; আছে ধ্বনি বিস্তার ।

ঞ. এ ছন্দের ভাব ললিত মধুর।

৩. স্বরবৃত্ত ছন্দ কাকে বলে

যে ছন্দে বদ্ধাক্ষর সবসময় একমাত্রার গণনা করা হয় এবং প্রত্যেক পর্বের প্রথম সারির আদিতে শ্বাসাঘাত পড়ে, তাকে স্বরবৃত্ত ছন্দ বলে। এ ছন্দকে দলবৃত্ত ছন্দ বা লৌকিক ছন্দ বা শ্বাসাঘাত প্রধান ছন্দও বলা হয়। এ ছন্দ বাংলা কবিতায় ছড়ার ছন্দ নামে পরিচিত।

স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য

ক. স্বরবৃত্ত ছন্দে যেকোনো অক্ষর (মুক্তাক্ষর এবং বদ্ধাক্ষর) এক মাত্রার ৷

খ. প্রতিটি চরণ সাধারণত চারটি পর্বে বিভক্ত এবং প্রতি পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার।

গ. তাল বা লয় দ্রুত পড়ে। যেমন : “কে বকেছে / কে মেরেছে / কে দিয়েছে / গাল, তাইতো খোকা / রাগ করেছে / ভাত খায়নি / কাল ৷’

ঘ. প্রত্যেক পর্বের প্রথম সারির আদিতে শ্বাসাঘাত পড়ে।

উপরোক্ত তিন প্রকার ছন্দ ছাড়াও বাংলায় আরো কিছু অপ্রধান ছন্দ রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্বন্ধে জেনে আসা যাক।

কিছু অপ্রধান ছন্দ

গদ্য ছন্দ কাকে বলে

যে ছন্দ অন্ত্যমিলহীন, অসমপার্বিক এবং প্রবহমান তাকে গদ্যছন্দ বলে ।

গদ্যছন্দের বৈশিষ্ট্য

ক. পরস্পর ছেদ বিচ্ছিন্ন চরণ দ্বারা গঠিত।

খ. পর্ব বহুত্ব বর্জিত । চরণ দৈর্ঘ্য অর্থানুযায়ী স্বাধীন।

গ. গদ্যকবিতার ছন্দ পদ্যছন্দের মতো বাঁধাধরা কাঠামোতে নিয়ন্ত্রিত নয় ।

ঘ. রবীন্দ্রনাথের মতে, ‘গদ্য ছন্দের চাল স্বাভাবিক চলন, আর পদ্যছন্দের চাল নাচের চলন।' যেমন : ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছো আকীর্ণ করি/বিচিত্র ছলনাজালে হে ছলনাময়ী।’ মিথ্যা বিশ্বাসের ফাঁদ পেতেছ নিপুণ হাতে সরল জীবনে।

সনেট কাকে বলে

সনেট পাশ্চাত্য ধারার কাব্যপ্রকরণ। মধুসূদন এর নাম দিয়েছেন চতুর্দশপদী কবিতা। তিনিই বাংলা সনেটের জনক। সনেটের আদি ধারা চালু করেন ইতালীয় কবি পেত্রার্ক। আধুনিক ধারা চালু করেন ইংরেজি কবি শেক্সপিয়র, ১৪ ছত্র বিশিষ্ট এই কবিতায় প্রথম ৮ ছত্রকে বলে octive বা অষ্টক ; পরবর্তী ৬ ছত্রকে বলে Sestet বা ষটক।

অমিত্রাক্ষর ছন্দ কাকে বলে

পয়ার ছন্দভিত্তিক, অনুপ্রাসহীন এবং পূর্ণযতির মিত্রতাহীন প্রবহমান ছন্দকে অমিত্রাক্ষর ছন্দ বলে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক। যেমন :

‘সম্মুখ সমরে পড়ি/বীর চূড়ামণি (৮+৬ = ১৪)

বীরবাহু, চলি যবে/গেলা যমপুরে' (৮+৬ = ১৪)

অমিত্রাক্ষর ছন্দের বৈশিষ্ট্য

ক. যতি/ছেদ চিহ্নের স্বাধীনতা।

খ. এ ছন্দ অক্ষরবৃত্তের পয়ার অবলম্বন করেই তৈরি।

গ. প্রতি ছত্রেই ১৪ মাত্রা। প্রথম ৮ মাত্রায় অর্ধযতি, শেষ ৬ মাত্রায় পূর্ণযতি।

ঘ. এ ছন্দে গম্ভীর ও ধ্বনি-মাধুর্যপূর্ণ শব্দের ব্যবহার হয়। ভাবের গভীরতা অতলস্পর্শী।

ঙ. এই ছন্দে অন্ত্যমিল বা অন্ত্যানুপ্রাস নেই ।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি ছন্দ কাকে বলে বিস্তারিত তোমার সফলতায়  অবদান রাখবে। তোমার কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে বা ফেসবুকের জানাতে পারো। পড়াশোনা সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাক। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিও। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। আল্লাহ হাফেজ...

আরো পড়তে পারেন

জুয়েল

আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। আসুন আমরা প্রত্যেক শিশুর স্বপ্ন জয়ের সারথি হই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন